Thursday, August 7, 2025

ছাত্রদের মঞ্চে উঠিয়ে আমাদের সামনে বসিয়ে রাখা অপমানজনক: বিএনপি নেতা

আরও পড়ুন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে দোতলা থানা ভবন পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অবশেষে সেই ভবন সংস্কার করে সেখানে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (৩১ মে) বিকেলে থানা চত্বরে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক, নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি আলমাস মামুন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সস্পাদক জুবায়েদ রিপন প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  ওরা আসলে শিবিরকর্মী,সারজিসদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ফজলুর রহমানের

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধির বক্তব্যের বিরোধিতা করে সমাবেশস্থলে হট্টগোল শুরু করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

একপর্যায়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আল আমিন কানাই, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবদল নেতা শরীফসহ বেশ কয়েকজন তাদের দিকে তেড়ে যান। পরে পুলিশ ও উপস্থিত জনতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে বিএনপি নেতা আল আমিন কানাই বলেন, ‘আন্দোলনে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করেছি আমরা। ৫ আগস্টের পর পুলিশকে আমরা শেল্টার দিয়ে কাজে ফিরিয়েছি আর পুলিশের প্রোগামে আমাদের বলা হয় না। আবার বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয় দুই দিনকার ছেলেপেলে।’

আরও পড়ুনঃ  ৩২ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সন্তান নিয়ে লাপাত্তা নাসিরের স্ত্রী

এ ছাড়া কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মঞ্চে উঠিয়ে আমাদের সামনে বসিয়ে রাখা অপমানজনক। আবার এরা বিএনপি বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়। পুলিশকে আমি সহযোগিতা করেছি। ৫ আগস্ট আমি কামাল থানার ওসিকে বাঁচিয়েছি। লুট করা অস্ত্র উদ্ধার করে দিয়েছি। অথচ আমাদের বলা হয়নি।’

এ বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কুমারখালীর প্রতিনিধি সদস্য আলমাস হাসান ‘আমাকে সংগঠক হিসেবে পুলিশ দাওয়াত করেছিল। সেখানে বক্তব্য দিয়েছি। বলেছি, ৫৪ বছর ধরে যারা এই দেশের পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে, আমি তাদেরও বিচার চাই। এ কথা বলা কি আমার সাংবিধানিক অধিকার নয়?’

আরও পড়ুনঃ  সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আন্দোলকারীদের

আলমাস হাসান আরও বলেছেন, ‘ডিআইজিকে বলেছি, শহীদ পরিবারের কাছে আপনি গিয়ে সরি বলেন। কেননা, তাদের পরিবার জানুক, পুলিশ তাদের পরিবারের সদস্যদের গুলি করে মেরেছে।’

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্যান্য থানার মতো কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর ১২ আগস্ট শহরের আমলাপাড়ায় অবস্থিত সদর ফাঁড়িতে অস্থায়ীভাবে থানার কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ। এরপর পোড়া ভবন সংস্কারের কাজও শুরু হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ