Wednesday, March 12, 2025

‘তো*র বাপেগরে জানা*ইস কে পিটা*ইছে’

আরও পড়ুন

ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসার পথে হার্ড ব্রেক করায় বাস চালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। এ সময় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলায় গাড়িতে থেকেই লোকজন খবর দেন ইকবাল।

এরপর মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় বাস থামিয়ে চালককে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। তখন বাসযাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।

তখন লোকজন জড়ো হলে ইকবাল তার একটা ভিজিটিং কার্ড চালককে দিয়ে বলেন, ‘তোর বাপেগরে জানাইস কে পিটাইছে।’ একথা বলে তার কর্মী বাহিনী নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনার হত্যা: শিমুল-তানভীরের জামিন নামঞ্জুর

শুক্রবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় আসিয়ান বাসে এ ঘটনার পর যাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ ঘটনা লিখে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ভাইরাল হয়।

তবে ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ভাঙচুর হয়নি। চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছে। এজন্য প্রতিবাদ করায় আসিয়ান বাসের ওই চালক আমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। তখন তাকে ভদ্র ভাষায় কথা বলার জন্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাসচালক বলেন, তিনি আমাকে কোনো অপরাধ ছাড়াই মেরেছেন। আবার দলবল নিয়ে গাড়িটাও ভাঙচুর করেছেন। অনেকে প্রতিবাদ করে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তারা যাওয়ার পর অনেকে ছবি তুলেছেন। বিষয়টি বাস কর্তৃপক্ষকে জানাব।

আরও পড়ুনঃ  আনারকে হত্যার আগে যেভাবে চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়

ঘটনার সময় মিনহাজ আমান নামে একজন সাংবাদিকও হেনস্তার শিকার হন। তাকে হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)’। বিবৃতিতে মিনহাজ আমানকে একজন ফ্যাক্ট-চেকিং সাংবাদিক উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ