Saturday, August 2, 2025

সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

আরও পড়ুন

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তিনি ম্যানিলা বিমানবন্দরে পৌঁছালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্তাতে ক্ষমতায় থাকাকালীন অবৈধভাবে মাদক পাচারের অভিযোগে দেশে গণহত্যা চালায়। আদালত এ বিষয়ে তদন্ত করবে।

আরও পড়ুনঃ  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট, যুবককে পিটুনি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) দুর্তাতের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মাধ্য চালানোর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তিনি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তা সম্ভব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল হিসেবে গণ্য হতে পারে।

২০১৯ সালে রন্দ্রিগো দুর্তাতে রোম সংবিধি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময়ে মানবাধিকার কর্মীরা এই কাজকে তার বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উত্থাপন করে। এছাড়া ২০২১ সালে দুতার্তের প্রশাসন আন্তর্জাতি অপরাধ আদালতের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নেন। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ফিলিপাইনের আদালতই এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তখন তিনি আরও বলেছিলেন, আইসিসি হলো শেষ আশ্রয়স্থল, তাই এ বিষয়ে তদন্ত করা তার এখতিয়ারের মধ্যে নয়।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন ফখরুল

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আইসিসির আপিল বিভাগ দুতার্তের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পুনরায় তদন্ত শুরু করা যেতে পারে বলে রায় দেন এবং দুতার্তের প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে দেন। নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তখনই হস্তক্ষেপ করতে পারে যখন কোনো দেশ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা রিবোধী অপরাধের মতো ভয়াবহ আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

২০২২ সালে দুর্তাতের স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট মার্কোস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনিও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেননি। তবে দুর্তাতের সঙ্গে তার ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এর ফলে তার প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, যদি আইসিসি আন্তর্জাতিক পুলিশের মাধ্যমে দুর্তাতেকে গ্রেপ্তার করতে রেড নোটিশ পাঠায় তাহলে তারা সহযোগিতা করবে।

আরও পড়ুনঃ  নেশা ও জুয়ার টাকা জোগাড় করতে রিকশা চালক রবিউলকে হত্যা (ভিডিও)

প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, আইসিসি থেকে ম্যানিলা ইন্টোরপোলের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়। তারই ভিত্তিতে মঙ্গলবার রদ্রিগো দুর্তাতে হংকং থেকে ম্যানিলা বিমানবন্দরে নামার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিপাইনের ন্যাশনাল পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ান পাওয়ার ফলে আগে থেকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ