Saturday, March 15, 2025

ইসরায়েলি বাধাকে চোখ রাঙিয়ে আল আকাসায় প্রথম তারাবি পড়লেন মুসল্লিরা

আরও পড়ুন

পবিত্র রমজান মাসেও ফিলিস্তিনে থেমে নেই সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন। এমনকি ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালাতেও ভাবছে না ইসরায়েলি বাহিনী। শত বাধা বিপত্তি শত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারাবিতেই আল আকসায় জড়ো হয়েছেন শত শত মুসল্লি। আদায় করেছেন তারাবির নামাজ।

রোববার (১০ মার্চ) প্রথম রমজানের তারাবি আদায়ের জন্য এদিন হাজির হয়েছিলেন নারী শিশুরাও। এই নামাজ ঘিরে যেন কোন ধরণের সংঘাত-সহিংসতার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় এ জন্য আগে ভাগেই সেখানে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মসজিদ চত্ত্বরে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের পড়তে হয় তল্লাশির মুখে।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচনে যে দুই ইস্যুকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেন মার্কিন ভোটাররা

তারপরও যথা সময়ে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্ত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো- ৪০ বছরের নীচে কেউ আল-আকসা চত্ত্বরে ঢুকতে পারবে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করে মুসল্লিরা। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন তারা।

আরও পড়ুনঃ  মুসলিম দেশ জর্ডান কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন যুবকরা। তবে তাদের কোন ভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে তাদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়। চালানো হয় হামলা।

এসময় সশস্ত্র বাহিনীটির সাথে সংঘাতেও জড়ান কেউ কেউ। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামাজ পড়ছেন অনেকে।

জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ