Tuesday, September 16, 2025

স্বর্ণ, র্টাকা, জমির পরিবর্তে আগামী ১০ বছর পর যে জিনিস হবে সবচেয়ে দামি!

আরও পড়ুন

বর্তমান জীবনে কোন জিনিসটি সবচেয়ে মূল্যবান? আপনি হয়ত বলবেন টাকা পয়সা অথবা কেউ বলতে পারেন, সোনা-রূপা অথবা প্রচুর জমি জায়গা পেলেই হয়ত জীবন স্বার্থক।

ভারতের জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত কিন্তু অন্য কথা বললেন । আর তাঁর এই কথাই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্বে।

নিখিল কামাত সম্প্রতি এমন কিছু বলেছেন যা ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনে নগদ অর্থ, সোনা, রূপা, মূল্যবান গয়না বা জমি-জায়গার মতো জিনিস আর মূল্যবান থাকবে না। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আগামী ১০ বছরে ইলেকট্রন এবং শক্তি আমাদের মুদ্রায় পরিণত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হলে যত টাকা ফেরত পাবে গ্রাহক

কামাতের এই চিন্তাভাবনা কেবল একটি কল্পনাই নয়, বরং দ্রুত বর্ধনশীল ডেটা সেন্টার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বা AI এর ব্যবহারের প্রবণতা ও তার ফলে অবিশ্বাস্য মাত্রার উত্তরোত্তর বর্ধনশীল বিদ্যুৎ খরচের উপর ভিত্তি করে করা গবেষণা থেকে পাওয়া চমকপ্রদ তথ্য।

ডেটা সেন্টার হল আপনার প্রতিটি অনলাইন কার্যকলাপ – তা সে নেটফ্লিক্স দেখা হোক বা ক্লাউডে কোনও ফাইল সংরক্ষণ করা হোক – প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা বা পদ্ধতি। কিন্তু শুনলে চমকে যাবেন যে প্রতিটি নতুন ডেটা সেন্টার বছরে ৪ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির মিলিত বিদ্যুৎ খরচের চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপির ইলিয়াস আলীকে কারা হত্যা করেছেন, জানালেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা

এই কারণেই যেকোনও ডেটা সেন্টারের মোট খরচের ৬৫% শুধু বিদ্যুতের (কম্পিউটিং এবং কুলিং) পিছনে ব্যয় করা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডেটা সেন্টার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ৩,৬৮০টি। এর পরেই রয়েছে জার্মানি (৪২৪টি) এবং ব্রিটেনে (৪১৮টি)।

সার্ভারের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই গবেষণায় অনুমান করা হচ্ছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে, বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ১০% ব্যবহার করবে এই ডেটা সেন্টারগুলি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ