Friday, March 14, 2025

‘এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে’

আরও পড়ুন

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের ফাইটার হিসেবে কর্মরত আহমেদ মো. সালেহ (৪৮) তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে অডিওবার্তায় বলেছেন, ‘একটু আগে সাহরি খেয়েছি। এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে।’

বুধবার (১৩ মার্চ) আহমেদ মো. সালেহের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, ‘আমার স্বামীসহ সবার মোবাইল ফোন জলদস্যুরা নিয়ে গেছে। তারা সাহরি খেতে দিয়েছে। আমার স্বামী আমাকে অডিওবার্তায় বলেছেন, একটু আগে সাহরি খেয়েছি। এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে। আর যোগাযোগ করতে পারব কি না, জানি না। আমার মেয়েদের দিকে নজর রাখিও। আমার জন্য দোয়া কইরো।’

আরও পড়ুনঃ  আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি, চাইলেন তদন্ত

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।

জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।

আরও পড়ুনঃ  কোনো চক্রান্তের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান আহমাদুল্লাহর

দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ