Tuesday, September 23, 2025

জাবিতে ঘুরতে গিয়ে মারধর-ছিনতাইয়ের শিকার ৪ স্কুলছাত্র

আরও পড়ুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার স্কুলছাত্রকে আটকে রেখে মারধর এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি। অন্যদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন—কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস ও দুর্জয় সরকার। তারা সবাই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুনঃ  ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল

ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তারা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসে তাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আরও তিনজন এসে তাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

সেখানে তাদের আটকে রেখে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে দেন। এ ছাড়া তাদের ১৫ হাজার টাকার একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুনঃ  জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার

তবে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলছেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরে একপ্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়। তাদের মারধর করা হয়নি।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্রাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। রাত ১০টার দিকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ