Tuesday, September 23, 2025

বিএসএমএমইউতে তুলকালাম, বিদায়ী ভিসির সমর্থকদের পিটুনি

আরও পড়ুন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকরা বিক্ষোভ করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও অংশ নেন।

বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  রাণীশংকৈলে নতুন বই বিতরণ উৎসব

সহকারীরে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, বিষয়টা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব।

২৮ মার্চ উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা।

আরও পড়ুনঃ  রমজানে ব্রয়লার মুরগি দাম ২৫০-৩০০ টাকা হওয়ার শঙ্কা

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এসব স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনা*কে ফেরত দেবে না ভারত!

তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধু দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এ নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে।

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে। বর্তমানে যারা বিরোধিতা করছে তাদের কেউ আমার কাছে আসে নাই।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ