Saturday, March 15, 2025

ভারতে থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা

আরও পড়ুন

ভারতের একটি থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরের কুপাওয়াড়ার একটি থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর তিন লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৮ মে) গভীর রাতে ওই থানার ভেতরে প্রবেশ করছেন সেনারা। তবে পুলিশকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মধ্যে ছোটখাটো মতবিরোধ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণ, আতঙ্ক

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া এবং পুলিশ সদস্যদের মারধরের যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভুল। একটি অপারেশনাল বিষয়ে পুলিশ ও আঞ্চলিক সেনা ইউনিটের মধ্যে ছোটখাটো মতবিরোধ হয়েছিল। আর সেটা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।

তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন দাবি করা হলেও পুলিশের এফআইআরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার তিনজন কর্মকর্তাসহ ১৬ জন সেনার নাম উল্লেখ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা ও পুলিশ সদস্যদের অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  গ্রেপ্তার আতঙ্কে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

এফআইআরে বলা হয়, একটি মামলার তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার কুপওয়ারার বাটপোরা গ্রামের এক আঞ্চলিক সেনার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এর জেরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই ইউনিটের বেশ কয়েকজন সেনা বিনা অনুমতিতে থানায় ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন সেনা কর্মকর্তা তাদের নেতৃত্ব দেয়।

ভারতীয় পুলিশের দাবি, তাদের তরফ থেকে সেনাদের কোনো উসকানি দেওয়া হয়নি। তারপরও ওই সময় থানায় থাকা পুলিশ সদস্যদের রাইফেলের বাট, লাঠি দিয়ে মারধর করেন সেনারা। এরপর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলে তাদের দেখে সেনারা চলে যায়। এমনকি চলে যাওয়ার সময় থানার প্রধান কনস্টেবলকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  ৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান, নিরাপদে আছে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা

এদিকে আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ