Monday, August 4, 2025

ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী ছিনিয়ে নিলেন বিএনপি নেতা, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

আরও পড়ুন

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্ত এ বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেনাবাহিনী ও কবিরহাট থানার একদল পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণগুলো উদ্ধার করে। এর আগে, একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  চাকরিচ্যুত করা হলো ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে

আটক উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে মো. সৌরভ (১৮)।

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা নিজেদের এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটগুলো কালামুন্সি বাজারে আসে।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। তখন একরাম অনুসারী ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিফাত, নুমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তারা ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে।

আরও পড়ুনঃ  দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরাম অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণগুলো উদ্ধার করে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণসামগ্রীগুলো বিতরণ করেন।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, ওই ত্রাণ বিতরণের সাথে কয়েকজন ছাত্রলীগের ছেলে জড়িত ছিল। যারা ৫ আগস্টের আগের আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আসলে ছোট বিষয়টিকে বড় করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পুকুরে ব্রিফকেস, ব্রিফকেসে লকার, লকারে মিললো চিরকুট

কবিরহাট থানার ওসি মো. হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, বিএনপির নেতারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ