Saturday, March 15, 2025

যে বার্তা দিলেন ঢাবি শিবির সভাপতি

আরও পড়ুন

ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাদেক কায়েম
গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এমন দাবি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ঢাবি সভাপতি সাদেক কায়েম।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আলোচনার অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্র রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসেছেন তারা। ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটি ছিল প্রথম দফা।

দ্বিতীয় দফার আলোচনা সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুনঃ  উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্তত ১৪ ইসরাইলি সেনা আহত

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদেক কায়েম বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠবে। গত ১৫ বছরে ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে জুলুমতন্ত্র চলে আসছে। আমরা এটার অবসান চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।

ঢাবি শিবিরের সভাপতি বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্ররাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াকে প্রাধান্য দেবে।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরা*পত্তা উপদেষ্টার ফোন

রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এটা সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী ভাবছি জানতে চেয়েছেন। আগে হলগুলোতে ভিজিট করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি কিছু জরিপও হয়েছে। এই জরিপগুলোও উনাদের কাছে এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাদেক কায়েম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট মেম্বাররা ফ্যাসিবাদের দোসর। আমাদের পক্ষ থেকে শক্ত দাবি ছিল, ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর হুকুমদাতা সিন্ডিকেট মেম্বারদের বাতিল করে তাদের আইনের আওতায় আনা। উপাচার্য আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন এবং আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখানে সরকারের একটি ইস্যু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ দেখেছি আমরা। আগ্রহের কোনো কমতি নেই। সময় মিলিয়ে একটু সময়ের দরকার। এখানে সকল ছাত্র সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের এই সংকটটা কেটে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  বোরকা পরে পালান শামীম ওসমান, বিপ্লবকে নিয়ে দেশ ছাড়েন নওফেল

ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি শিবিরের সভাপতি বলেন, আমাদের অন্যতম একটা দাবি ছিলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যে গেস্টরুম ও গণরুম ব্যবস্থা ছিলো তা বিলুপ্ত করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। মেধা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে সবার জন্য সিটের যে নতুন বন্দোবস্ত হয়েছে তা যেন চলমান থাকে, এবং এ জায়গাগুলোতে প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করা হয় সেই আহ্বান জানাই।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ