Sunday, September 21, 2025

রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে সটকে পড়লেন ‘কাচ্চি ভাই’য়ের লোকজন

আরও পড়ুন

রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে খিলগাঁওয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের একপর্যায়ে খিলগাঁওয়ের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা। তবে সেখানে গিয়ে কাওকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে গেলে দেখা যায়, ভবনের মূল গেটে একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘রেস্টুরেন্টটির উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ’। অর্থাৎ, অভিযানের খবরে পোস্টার টানিয়ে আগেই সটকে পড়েছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ  জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

খিলগাঁওয়ে রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযান খবরে খিলগাঁওয়ের অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর যেগুলো বন্ধ হয়নি, সেগুলোতে রেস্টুরেন্টের মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে, সরু সিঁড়িসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সার্বিক বিবেচনায় তাৎক্ষিণভাবে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট থাকা সাত তলা একটি ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়। সাত তলা এই ভবনের নাম স্কাই ভিউ নাইটঙ্গেল টাওয়ার। সেখানে বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে পাস্তা ক্লাব, সুইট অ্যান্ড স্যাভরন, শর্মা কিং ও ক্যাফে আইপ্যানেমা অন্যতম।

আরও পড়ুনঃ  রাতেই ৮০ কিমি ঝড়ের পূর্বাভাস, সতর্কতা জারি

প্রসঙ্গত গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অনেকে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ