Saturday, March 15, 2025

‘সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিআরটিসি কাউন্টার বিএনপি ভোগ করবে’

আরও পড়ুন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে বাস কাউন্টার দখলে নেওয়ার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিল্লা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হইছে, এখানে বিআরটিসির কুয়াকাটা এবং তুলাতলির কাউন্টার ৯ ওয়ার্ডের বিএনপির কমিটি মিল্লা ভোগ করবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোস্তফা শেখ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি নেতা মতিউর রহমান। বিআরটিসির কুয়াকাটা ও তুলাতলির কাউন্টার স্থানীয় বিএনপি দখলে নেওয়ার কথা জানিয়ে ভিডিওতে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে তিনি বলেন, ‘এখন সভাপতি, সিনিয়রসহ আমাদের সবার সিদ্ধান্ত এক, কালকে হইতে আপনাদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।’

আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে তুরস্কের প্রসিডেন্ট এরদোয়ানের ফোন

ভিডিওতে কথোপকথন হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন মোস্তফা শেখ। তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কুয়াকাটা কাউন্টারের ইনচার্জ আলী আহমদ শেখের ছেলে।

মোস্তফা শেখ বলেন, ‘আমার বাবার নামে বিআরটিসির দুটি কাউন্টার রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর তারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) তুলাতলি কাউন্টার নিয়ে গেছে। এখন কুয়াকাটা কাউন্টার দখলে নেওয়ার জন্য ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর বিএনপির সেক্রেটারি আমাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেছে। তবে আমরা তাঁর কথায় রাজি হইনি।’

আরও পড়ুনঃ  দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘কাজের চাপে রোবটের আত্মহত্যা’!

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পর্যটন নগরীতে বিআরটিসির দুটি কাউন্টার রয়েছে। এর মধ্যে তুলাতলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি এবং কুয়াকাটা শহরে অন্যটি। ২০১৯ সালে বরিশাল বিআরটিসির ডিপো থেকে কাউন্টার ইনচার্জ হিসেবে কুয়াকাটা এলাকার আলী আহমেদ শেখসহ আরও দুজনকে কাগজে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১৯ সাল থেকে কাউন্টার দুটি আলী আহমেদ শেখ পরিচালনা করে আসছেন। গত ৫ আগস্টের পর তুলাতলি কাউন্টারটি কুয়াকাটা পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা দখল করে নেন। পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটা শহরের কাউন্টার দখলে নিতে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউন্টারের সামনে বসে মোস্তফা শেখকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কাউন্টার বন্ধ করে রাখার কথা বলেন। এই কথোপকথনের ভিডিও গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে চলছে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

আরও পড়ুনঃ  শতভাগ সফল হয়েছে ডিবির ভারত সফর: হারুন অর রশিদ

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘ভোগদখলের কোনো বিষয় নয়। যাত্রীর টিকিট কাটা নিয়ে ঝামেলা হয়, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি কাউন্টার বন্ধ রাখতে বলেছি।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংস সরকার কুট্টি বলেন, ‘আমি কথোপকথনের বিষয়ে জানি না।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ