Monday, March 17, 2025

হাত হারানো মাহমুদকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নোয়াখালী মাইজদীর কলেজছাত্র মাহমুদুন নূর মাহমুদের হাত হারানোর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুনঃ  ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন বাবাও

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

এর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নোয়াখালী মাইজদীর মাহমুদুন নূরের হাত হারানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট দায়ের করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নোয়াখালী মাইজদীর শহর মসজিদ মোড়সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্মিত পদচারী-সেতুর ওপর দিয়ে গেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন।

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনার হত্যা: আদালতে তোলা হতে পারে ‘কসাই’ জিহাদকে

ওই সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন কলেজছাত্র মাহমুদুন নূর মাহমুদ (১৮)। একই ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। তারা তিনজনই শহরের পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

গুরুতর আহত মাহমুদুন নূরকে প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মাহমুদুন নূরের বাঁ হাতের নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। ১১ হাজার কেডিএ বিদ্যুৎ লাইনের বিদ্যুতে ঝলসে গেছে তার বুক, পেটসহ শরীরের অনেকাংশ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ